ফেনীতে গত ২ দিনে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত,
দেশজুড়ে চলমান বর্ষণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলজুড়ে তৈরি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। এর মধ্যে সবচেয়ে নজরকাড়া রেকর্ড গড়েছে ফেনী জেলা। গত ২ দিনে ফেনীতে রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪৪০ মিলিমিটার, যা ভেঙে দিয়েছে ২০০৫ সালের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে উপকূলীয় ও পার্বত্য জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, রামগতি, পটুয়াখালী, সন্দ্বীপ ও ভোলা—এই জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
গত ২ দিনের বৃষ্টিপাতের তালিকা (৪০ মিলিমিটারের বেশি):
১. ফেনী – ৪৪০ মি.মি.
২. পটুয়াখালী – ২৪৮ মি.মি.
৩. রামগতি (লক্ষ্মীপুর) – ২২৫ মি.মি.
৪. নোয়াখালী – ১৮৯ মি.মি.
৫. সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) – ১৬৬ মি.মি.
৬. ভোলা – ১৫৪ মি.মি.
৭. হাতিয়া (নোয়াখালী) – ১৪৪ মি.মি.
৮. টেকনাফ (কক্সবাজার) – ১৩৫ মি.মি.
৯. খেপুপাড়া, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) – ১১৫ মি.মি.
১০. মংলা (বাগেরহাট) – ১১৩ মি.মি.
১১. সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) – ১১২ মি.মি.
১২. সাতক্ষীরা – ৯৭ মি.মি.
১৩. কয়রা (খুলনা) – ৯০ মি.মি.
১৪. বরিশাল – ৮৩ মি.মি.
১৫. আমবাগান, টাইগারপাস (চট্টগ্রাম) – ৮১ মি.মি.
১৬. গোপালগঞ্জ – ৭৪ মি.মি.
১৭. কুমিল্লা – ৬০ মি.মি.
১৮. বান্দরবান – ৫৯ মি.মি.
১৯. খুলনা – ৫৮ মি.মি.
২০. কক্সবাজার – ৫০ মি.মি.
২১. পতেঙ্গা (চট্টগ্রাম) – ৫০ মি.মি.
২২. নারায়ণগঞ্জ – ৪১ মি.মি.
২৩. সিলেট – ৪০ মি.মি.
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাত থেকে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগে পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। এতে করে ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতা আরও তীব্র হতে পারে।
ইতোমধ্যে ফেনী জেলার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালালেও অতিবৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।