গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করেছে। খাদ্য সংকট ও অবরোধের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে রক্তাক্ত হচ্ছে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলো। অনেকেই বলছেন, বাস্তবেই যেন এখানে চলছে হাংগার গেমস-এর নির্মম বাস্তবায়ন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনুসে নাসের হাসপাতালের চিত্র এখন আহত ফিলিস্তিনিদের আর্তনাদে ভরপুর। ১৭ জুন একটি খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের পাশে ইসরায়েলি গুলিতে আহত হয় অসংখ্য মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শত শত মানুষ। হঠাৎ গুলির শব্দে চারপাশ রক্তাক্ত হয়ে যায়।
মার্চের শুরু থেকে গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ। একটানা অবরোধ ও যুদ্ধের কারণে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অধিকাংশ পরিবার দিনে মাত্র একটি বেলা খাবার পাচ্ছে। কেউ কেউ টানা কয়েক দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা এখন মানুষের মতো বাঁচছি না। শিশুদের সামনে খাবার নেই, আর বাইরে বের হলেই গুলি।”
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতায় হতবাক গাজার মানুষ। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার আহ্বান সত্ত্বেও ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এই নিষ্ঠুর পরিস্থিতিতে গাজার জনগণ মানবাধিকারের জন্য লড়ে যাচ্ছে প্রতিদিন – খাদ্যের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য, ন্যূনতম মর্যাদার জন্য।
(Source: Al Jazeera English)